পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সুরাকে ৩০ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পরিভাষায় যেগুলোকে পারা বলা হয়। মাহে রমজানে বাংলাদেশের খবরের পাঠক-শ্রোতাদের দিনে এক পারা করে তিলাওয়াত উপহার দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। তিলাওয়াত করেছেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত মাদরাসাতুল মারওয়াহর প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হাফেজ মাওলানা কারী মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ রমজান, ২০ মার্চ) রইল ১৯তম পারার তিলাওয়াত। আজকের তিলাওয়াতে রয়েছে সুরা ফুরকানের ২১ আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত, সুরা শুআরা ও সুরা নামলের প্রথম ৫৯ আয়াত।
সুরা শুআরার সারমর্ম
এটি পবিত্র কোরআনের ২৬তম সুরা। এই সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর আয়াত সংখ্যা ২২৭টি। সুরাটির আয়াতগুলোর অনেকগুলোই খুবই সংক্ষিপ্ত। সুরার ২২৪ নং আয়াতে থাকা আশ-শুআরা শব্দ থেকে এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে।
এই সুরায় বিভিন্ন নবী ও তাদের গোত্র সম্পর্কে এবং কীভাবে কাফেররা নবীদের মৃত্যুর হুমকি দিলে তাদের ধ্বংস করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এতে আল্লাহর রহমতের কথাও আলোচনা করা হয়েছে। এই সুরাটি নবী মুসার কাহিনী দিয়ে শুরু হয়, এরপর ইব্রাহীমের কাহিনী বর্ণনা করা হয়।
নাজিলের সময় এবং প্রাসঙ্গিক পটভূমি অনুসারে (আসবাব আল-নুজুল), এটি একটি পূর্ববর্তী ‘মাক্কী সুরা’, যার অর্থ এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রথমে সূরা ত্বহা, পরে সুরা আল-ওয়াকিয়াহ এবং পরে সুরা শুআরা নাজিল হয়। ২২৪ আয়াত থেকে সুরাটির নামটি গৃহীত হয়েছে।
ডিআর/বিএইচ