ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ইসলামি শিক্ষা প্রচারের অনন্য প্রতিষ্ঠান নেত্রকোনার জামিয়া মিফতাহুল উলুম

মুফতি সফিউল্লাহ
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৫
-67a0cabce8b0e.jpg)
নববী আদর্শে পরিচালিত অনন্য এক শিক্ষাধারার নাম কওমি মাদ্রাসা। দারুল উলুম দেওবন্দের পথ-পদ্ধতিতে চলে আসছে এর এই শিক্ষাধারা। নেত্রকোণার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া মিফতাহুল উলুমও দারুল উলুম দেওবন্দের উসুলে হাশতে গানায় পরিচালিত অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান।
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও দানবীর মরহুম মোজাফর খান তৎকালীন সময়ের প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মাওলানা জিনাত উল্লাহ (রহ.) মাওলানা আব্দুল মুহি-গরমার হুজুর-কে (রহ.) সাথে নিয়ে বারহাট্টা রোডস্থ নিজ ভূমিতে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তন করেন।
পরবর্তীকালে বিখ্যাত আলেমেদ্বীন মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা মনজুরুল হক (রহ.) এর দায়িত্বভার গ্রহণের পর মাদ্রাসার ব্যাপক পরিচিতি ও সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদ্রাসাটি পাঠদানে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে দেশ-বিদেশে। এখানে মকতব থেকে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত শ্রেণিতে প্রায় ৬৫০ জন ছাত্র রয়েছে এবং মাদ্রাসাটিতে রয়েছে আলাদা ফতোয়া বিভাগও।
জামিয়ার মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস মাওলানা আবুল কাসেম বলেন, আমাদের জামিয়ার সূচনা থেকেই শিক্ষা-দীক্ষা আদব-আখলাকে ছাত্রদের অনন্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আলহামদুলিল্লাহ! এ বছর শিক্ষকদের অনেকেই পুরো বছর কোনো ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলেন না।
মাওলানা আবুল কাসেম সাহেব আরও বলেন, ছাত্রদেরকে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাক ও আল হাইয়াত) কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমাদের জামিয়ায় যারা কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জন করে তাদের ভর্তি ও খাবার সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেওয়া হয়।
জামিয়ার নাজিমে তালিমাত ও শায়খুল হাদিস মাওলানা তাবারুকুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের মাদ্রাসায় নিয়মিত সবক, তাকরার, মুজাকারা ছাড়াও যে কোনো সময় উস্তাদের কাছে মুরাজাআতের ব্যবস্থা আছে। আবাসিক আসাতিযায়ে কেরাম সার্বক্ষণিক নেগারানী করেন।
তিনি আরও বলেন, শুধু তালিমই নয়, তরবিয়তের প্রতিও আমাদের মাদ্রাসা খুব যত্নবান। প্রত্যেক নামাজের ১০ মিনিট আগে মসজিদে যাওয়ার ইহতিমাম করা হয় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর মসজিদে ছাত্রদের হাজিরা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আমাদের মাদ্রাসায় দেশবরেণ্য আলেমদের মাধ্যমে ছাত্রদের তরবিয়তি মজলিসের ব্যবস্থা করা হয়।
জামিয়ার সহকারী নাজেমে তালিমাত মুফতি ইয়াছিন মাহমুদ বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় দুর্বল ছাত্রদের নিয়ে আলাদা মেহনত করা হয়। সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পড়শোনার পাশাপাশি ছাত্রদের হাতের লেখার প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়।
জামিয়ার নাজেমে দারুল ইকামাহ মাওলানা হিফজুর রহমান বলেন, আমাদের জামিয়াতে ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি আমলি জীবন গঠনের প্রচেষ্টা করা হয়।
safiullahnomani@gmail.com
বিএইচ/