বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
নতুন দলের নাম চূড়ান্ত, কোর কমিটিতে কারা?

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২২

শুরুতেই বাধা, বিক্ষোভ সংঘর্ষ
বাংলাদেশের খবরে লিড করা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠন 'বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ' আত্মপ্রকাশ করেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব হিসেবে জাহিদ আহসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদাসসির এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আশরেফা খাতুন।
গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নাম ঘোষণা করা হয়। 'স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট' এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই ঘোষণা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করা, অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা এবং দলীয় নেতাদের চাঁদায় দল পরিচালনা করার কথা বলছেন সংগঠনটির নেতারা। এ ছাড়া কেন্দ্রে ২৮ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ইউনিটগুলোতে স্নাতকে ভর্তি হওয়া থেকে সাত বছর পর্যন্ত সংগঠনটির দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সামনে রেখে একটি নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা করতে এই নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করছেন বলে সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন।
নতুন ছাত্রসংগঠনের যাত্রা শুরু, পদ নিয়ে বিক্ষোভ
প্রথম আলো লিড করেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদার। সদস্যসচিব করা হয়েছে আরেক সাবেক সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ আহসানকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল বুধবার নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগান, বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি এবং পরে অন্তত দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মারামারিতে আহত অন্তত দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশু আলী ও আকিব আল হাসান।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁরা নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটিতে তাঁদের ‘সঠিক প্রতিনিধিত্ব’ চান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছিলেন, কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
বিএনপিতে প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল
বাংলাদেশ প্রতিদিনে বলা হয়েছে, সাত বছর পর বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। আজ রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল এবং মাঠ প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়াল সভাপতিত্বে প্রায় ৪ হাজার নেতা এতে অংশ নেবেন। দিনব্যাপী এই সভায় সারা দেশ থেকে আসা নেতারা গত ১৭ বছরে তাদের আন্দোলন-সংগ্রামের কথা তুলে ধরবেন। দলীয়প্রধান নেতা-কর্মীদের কথা শোনার পর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারেক রহমান সভায় আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখাসহ নানা বিষয় তুলে ধরবেন। পাশাপশি শতাধিক আসনে দলের প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হতে পারে।
সভার সার্বিক বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বর্ধিত সভা আয়োজনের ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, সবার অংশগ্রহণে যে মিলনমেলা তৈরি হবে তার মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে নতুন একটা স্পিরিট তৈরি হবে, নতুন জাগরণ সৃষ্টি হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করব। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা যে, জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের ভিত আরও শক্তিশালী হবে।
দায়মুক্ত ৩ হাজার দুর্নীতিবাজ
যুগান্তর লিড করেছে, দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশের একমাত্র সংবিধিবদ্ধ সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অথচ পতিত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংস্থাটি ছিল বড় দুর্নীতিবাজদের ‘রক্ষাকবচ’। তখন ‘রাঘববোয়াল’ হিসাবে পরিচিত প্রায় তিন হাজার ব্যক্তিকে দায়মুক্তি বা ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হয়েছে। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে অনুসন্ধান পর্যায়ে তা নথিভুক্ত করা হয়।
আবার অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়ায় মামলা করা হলেও তদন্তের পর ফাইনাল রিপোর্ট ট্রু (এফআরটি) এর মাধ্যমে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রভাবশালী অনেকেই তিন-চার দফায় দায়মুক্তির সনদ বাগিয়ে বহাল তবিয়তে ছিলেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে নতুন করে অনুসন্ধান ও মামলা হচ্ছে। একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আলাপকালে দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তা প্রায় একই ধরনের তথ্য তুলে ধরে যুগান্তরকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে সংস্থাটির শীর্ষ পদে যারা আসীন হয়েছেন, তারাই ক্ষমতার ছায়া অনুসরণ করেছেন। দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাবানরা ক্ষুব্ধ হন-এমন কোনো পদক্ষেপ কেউ নেননি। বরং কাজ করেছেন সরকারের মর্জিমাফিক। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে কমিশনের ইচ্ছা, আবার কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ প্রভাবের কারণে অনুসন্ধান ও তদন্তকাজের বৈপরীত্য অবস্থান নেওয়ায় সংস্থাটিকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ফ্যাসিবাদের সহযোগী বিচারপতিরা অধরা
আমার দেশ লিড করেছে, জুডিশিয়াল কিলিং ও গণতন্ত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত বিচারকরা পুরস্কৃত হয়েছেন সর্বোচ্চ পদ লাভের মাধ্যমে। প্রধান বিচারপতি পদে পুরস্কৃত হয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষের বিচারকরা।
একইভাবে জুডিশিয়াল কিলিংয়ে জড়িতরাও পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের পদ। হাসিনার পতনের পরও তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের অনেকেই একরকম আত্মগোপনে রয়েছেন।
আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পর অনেকেই বাসাবাড়ি ছেড়ে দিয়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। তাদের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, সরকারের ঢিলেঢালা আচরণে এখন আবার বাড়িতে ফিরেছেন অনেকেই। যদিও তারা জনসমক্ষে বের হন না। কথা বলেন না সাংবাদিকদের সঙ্গে।
উচ্চ আদালতের বিচারকরাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদের পাটাতন গড়ে দিয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়টি ছিল বিনা ভোটে; আবার কখনো রাতের ভোটে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণার ভিত্তি। নির্বাচনের নামে ভোটার অনুপস্থিতির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার পথ তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল হাসিনাকে। হাসিনা ১৫ বছর ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মূলত এই রায়ের কারণেই।
পদ বাড়িয়ে সমঝোতার চেষ্টা নতুন দলে
সমকাল লিড করেছে, শেখ হাসিনার পতন ঘটানো গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দলে প্রধান সমন্বয়কারী পদ সৃষ্টি করে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। এ টানাপোড়েনের মধ্যেই গতকাল বুধবার মারামারিতে আত্মপ্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়কদের নতুন ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একচেটিয়া প্রাধান্যে বিক্ষোভ করেন গণঅভ্যুত্থানে প্রতিরোধ গড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র সংগঠনের মতো তরুণদের রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব নিয়েও চলছে বিরোধ। এতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দুই নেতা নতুন দলে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদেরসহ বিক্ষুব্ধদের ফেরানোর চেষ্টা করছেন দলের নেতৃত্ব নিতে যাওয়া সদ্য সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন দলের আহ্বায়ক হতে যাচ্ছেন নাহিদ; সদস্য সচিব হতে পারেন আখতার হোসেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র করার কথা রয়েছে।
নতুন দলের নাম চূড়ান্ত, কোর কমিটিতে কারা?
মানবজমিন লিড করেছে, নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আশা জাগিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে ছাত্র-জনতার নতুন রাজনৈতিক দলের। আগামীকাল রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জাতীয় সংসদের সামনে বড় জমায়েতের মাধ্যমে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ রাজনৈতিক শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। দল গঠনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতারা।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে চূড়ান্ত করা হয়েছে দলের নাম ও কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু পদ নিয়ে এখনো ঘষামাজা চলছে দলের অভ্যন্তরে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সব ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরব একটি অংশ। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শক্তি নারীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে না রাখা নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের অভ্যন্তরে। এ ছাড়াও শীর্ষ পদ নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রআন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা।
ছাত্রআন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মানবজমিন জানতে পেরেছে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি’। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে ১৫১। এ ছাড়া কোর-কমিটি হতে পারে ২৪ জনের। জাতীয় নাগরিক কমিটির এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের দলের নাম, কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত। এখন কমিটির কয়েকটি পদ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করে একটি ইনক্লুসিভ রাজনৈতিক শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘটবে। যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যার নারী নেতৃত্বও থাকবে আমাদের কমিটিতে।
কৃষি খাদ্যপণ্যের বাজার প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারের, আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৫ বিলিয়নের
বণিক বার্তা লিড করেছে, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা হলেও আমদানিনির্ভরতা এখনো প্রকট। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। তবে খাদ্য চাহিদা মেটাতে আমদানি করা হয় আরো প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য। সে হিসাবে দেশে মোট কৃষিপণ্যের বাজারের আকার ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। ফলে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা কতটুকু যুক্তিসংগত, সে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। আমদানির বিকল্প হিসেবে কৃষিপণ্য উৎপাদনে আরো জোর দেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।
কৃষি খাতের বড় উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের চাহিদা মেটাতে ক্ষেত্রবিশেষে ৪০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত কৃষিপণ্য আমদানি করতে হয়। সে হিসেবে খাদ্যের একটি বড় অংশই আনতে হয় বিদেশ থেকে। এর পরও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলাটা অযৌক্তিক বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। মূলত এ নিয়ে একটি মিথ্যা বয়ান তৈরি করা হয়েছে, যা প্রায়ই সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে শোনা যায়।
জার্মানিভিত্তিক বৈশ্বিক বাজার ও অর্থনৈতিক তথ্য-উপাত্তসংক্রান্ত ডাটাবেজ স্ট্যাটিস্টার হিসাবে, এ বছর বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারের আকার ১০ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে। প্রতি বছরই ২ শতাংশ হারে এ বাজারের আকার বাড়ছে। সে হিসাবে ২০২৯ সালে দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজার ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে কৃষিপণ্য আমদানি বছরে প্রায় শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের চাহিদা মেটাতে এ বছর বিদেশ থেকে আনতে হবে প্রায় ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য।
নতুন দলের নেতৃত্বে নাহিদ-আকতার
কালের কণ্ঠ লিড করেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বেই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল। এ ছাড়া দলটিতে মুখপাত্র ও মুখ্য সংগঠকের পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমই চূড়ান্ত। তবে নতুন সৃজন করা জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে পরিবর্তন আসছে বলে জানা গেছে। এই দুটি পদে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর নাম আলোচনায় ছিল।
সমাঝোতার ভিত্তিতে এই দুটি পদ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নতুন রাজনৈতিক দলে থাকছেন না বলে জানিয়েছেন আলী আহসান জোনায়েদ। তাঁর সঙ্গে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব রাফে সালমান রিফাতও দলটিতে থাকছেন না বলে জানিয়েছেন।
আলী আহসান জোনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে।
এটিআর/