
ফিলিস্তিনের গাজার মানুষ ভয়, অসহায় ও বিধ্বস্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সবাই আতঙ্কিত, বিশেষ করে ছোট ছোট শিশুরা, যারা ভেবেছিল—এইবারের রমজান শেষ হলে তারা প্রথমবারের মতো বিমান হামলার ভয় ছাড়া ঈদ উদযাপন করতে পারবে।
কিন্তু তাদের সেই আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হলো। নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেরই চার শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
গাজায় গত ১৭ দিন ধরে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক সাহায্য আসা বন্ধ ছিল। ফলে, মানুষ আগে থেকেই অনাহারে। তাদের খাবার নেই, পানির অভাবও চরমে।
৫ লাখ ফিলিস্তিনিদের পানি সরবরাহের পরিশোধন প্লান্টটি আর কাজ করছে না। নেই ওষুধ, নেই জ্বালানি। রান্নার গ্যাসও নেই।
পবিত্র মাহে রমজানের প্রতিদিনের জীবনযাপনই একরকম যুদ্ধ। কোনো ধরনের যুদ্ধ ছাড়া বেঁচে থাকাও ফিলিস্তিনিদের জন্য চরম লড়াই। তাদের এই পরিস্থিতি বোঝানোর মতো কোনো ভাষা নেই।
আল জাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগের দিন ভয়াবহ বিমান হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন যে তিনি গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ক্ষুব্ধ। গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলার ফলে বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তের শান্তিকামী জনগণ বিক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছেন।