Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

১৪০০ ডাকাত আতঙ্ক মহাসড়কে

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০

১৪০০ ডাকাত আতঙ্ক মহাসড়কে

পরিবর্তনে ঐক্য গড়াই চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসনের পতনের পর, রাজনৈতিক দলসহ অন্য অংশীজনদের মধ্যে যে ঐক্য দেখা গিয়েছিল, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে সেই ঐক্যের জায়গায় ইতিমধ্যে কিছুটা মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।

ফলে রাষ্ট্র সংস্কারে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের বিষয়ে মতামত জানায়নি বড় দলগুলো। এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হচ্ছে। ফলে দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে পারবে কি ঐকমত্য কমিশন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে ও ঐকমত্যে পৌছাতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশন কাজ শুরু করে। 

‘দুবাই থেকে অবৈধভাবে এসেছে ৩২ হাজার কোটি টাকার সোনা’
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দুবাই থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সোনা আসছে, যার মূল্য প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রচুর সোনা রপ্তানি করে। তবে বাংলাদেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী বৈধ আমদানি খুবই কম। ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে আমিরাত ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের সোনা বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে শুধু ৮২ লাখ ডলার মূল্যের সোনা আমদানি হয়েছে।

এই বিপুল পরিমাণ সোনা অবৈধভাবে দেশে আসছে, যার ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং অপরাধী চক্রের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। সোনা আসে তিনটি পথে; যাত্রীদের মাধ্যমে, বৈধ আমদানির মাধ্যমে এবং অবৈধভাবে। যাত্রীদের মাধ্যমে আনা সোনার পরিমাণও বেড়েছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। 

১৪০০ ডাকাত আতঙ্ক মহাসড়কে
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মহাসড়কে একের পর এক ডাকাতির কারণে ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রায় ১,৪০০ ডাকাতের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জামিনে মুক্তি পাওয়া ডাকাতদেরও নজরদারিতে রেখেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিগত সময়ের তুলনায় মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা কমেছে এবং অসংখ্য পেশাদার ডাকাত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-রংপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।

এসব মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে ডাকাতির সঙ্গে বেশ কয়েকটি ডাকাত চক্র জড়িত।  পুলিশ জানিয়েছে, তারা মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২১৪টি চেকপোস্ট এবং ৮০৩টি টহল টিমের ব্যবস্থা করেছে। ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং রাতে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ঢাকা থেকে বের হতেই পথে ভোগান্তির ভয়
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে যাত্রীরা বড় ধরনের যানজটের মুখে পড়তে পারেন। ঢাকা থেকে বের হওয়া সড়কগুলোতে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য প্রধান মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

গাবতলী, আমিনবাজার, বাইপাইল, কাঁচপুর ব্রিজ, যাত্রামুড়া ব্রিজ, এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যানজট হতে পারে। কারণ মহাসড়কগুলোতে উন্নয়ন কাজ চলছে এবং অনেক স্থানে সড়কের কাজ চলছে।

সড়ক পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তবে যানজট কিছুটা কমানোর জন্য বিশেষ মনিটরিং করা হবে। ঈদের সময় গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যানবাহনের চাপ বাড়ে, ফলে যানজটের পরিমাণ বেড়ে যায়।

সুযোগে ছদ্মবেশে সক্রিয় আরসা
দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) বাংলাদেশে ছদ্মবেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

তারা সাধারণ রোহিঙ্গা সেজে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে আরসার একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে, যারা হত্যাকাণ্ড, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িত। তাদের সঙ্গী মিয়ানমারের আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনও বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ময়মনসিংহ এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে ১০ জন আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা বিভিন্ন পরিচয়ে দেশে লুকিয়ে ছিল।

ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগে তৎপরতা বিএনপির ‘না’
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সরকারের মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটি প্রশাসক নিয়োগের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করছে বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল এ উদ্যোগের বিরোধিতা করছে, তাদের মতে এটি এনসিপির সুবিধার জন্য এবং তারা এটি মানবে না। এনসিপির নেতারা দাবি করছেন যে, তারা সিটি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করেছেন, তবে কোনো অপকর্ম বা লেনদেনের অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছেন।

বিএনপি তাদের অবস্থানে দৃঢ় রয়েছে যে, সিটি ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগ বিধিসম্মত নয় এবং তারা এতে সাড়া দেবে না।

পারফিউম ব্যবসার আড়ালে দেশের সবচেয়ে বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পারফিউম ব্যবসার আড়ালে একটি বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে। সিলেটের ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান নাসিরের মালিকানাধীন আল হারামাইন পারফিউমস কোম্পানির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছিল। নাসিরের ব্যবসা বিশ্বের ৮৬টি দেশে বিস্তৃত এবং তার কোম্পানির শোরুমগুলো হুন্ডি লেনদেনের কাজে ব্যবহার হচ্ছিল। সিআইসি সম্প্রতি ইউএইতে গিয়ে তার সম্পদ এবং অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেছে, পাশাপাশি সিলেটে তার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।

নাসিরের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবও ফ্রিজ করা হয়েছে। এনবিআরের তদন্ত অনুযায়ী, আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুমগুলোতে হুন্ডির মাধ্যমে বড় অংকের টাকা লেনদেন হত এবং এর আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানও চলত।

হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মাদক ব্যবহারের পরিমাণ বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শিথিলতায় মাদক ব্যবসা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক মাসে মাদকসেবীর সংখ্যা অন্তত ২০ লাখ বেড়েছে, যার ফলে মাদক ব্যবসা এবং অর্থপাচারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৩ সালে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয় মাদক ব্যবসার মাধ্যমে। মাদক সেবন এখন প্রকাশ্যে ঘটছে এবং এর নিয়ন্ত্রণে সরকার তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

প্রধান লক্ষ্য বড় বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নেও গুরুত্ব
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী ২৬ মার্চ চীন সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। তিনি চীনের বড় বড় ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করবেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবেন।

বিশেষত, চীনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ফ্যাক্টরি স্থাপনের আহ্বান জানানো হবে, যাতে তারা চীন থেকে কিছু রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সুবিধা নিতে পারেন। এই সফরে ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং চীনের বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করবেন। তিনি চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে বাংলাদেশে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগ আনা যায়।

এটিআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর