বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে এনআইডি, দুদকের জালে হেলালুদ্দীন

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭

সংস্কার না হলে ফিরে আসতে পারে স্বৈরতন্ত্র
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ‘দেশের শাসন ব্যবস্থার বিদ্যমান কাঠামো স্বৈরাচার তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক, কাঠামোগত সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা দরকার। ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ সংস্কার চায়। তাই রাজনৈতিক দলকে সংস্কারে বাধ্য করতে হবে।
বর্তমান সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনতার এত বছরে প্রয়োজনীয় সংস্কার করেনি।তাই সংস্কার না করে কোনোভাবেই নির্বাচন দেওয়া যাবে না। সংস্কারের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো বিরোধ নেই। একসঙ্গে সংস্কার ও নির্বাচনের কাজ চলতে পারে। কিছু জরুরি সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’
গতকাল ‘রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেছেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই বৈঠকের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। গোলটেবিল আলোচনার শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
গাজায় নির্বিচার শিশু হত্যা
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কয়েক দিন পরেই প্রথম জন্মদিন ছিল ফুটফুটে শিশু বানান আল–সালোউতের। আরেক শিশু হুর আল–সালোউতের বয়স এক বছর হয়েছে। কবে সে গুটি গুটি পায়ে হাঁটা শুরু করবে, সে অপেক্ষায় ছিলেন মা-বাবা। আর ঈদ কবে আসবে, কী কেনাকাটা করবে—তা নিয়ে ছোট্ট সালমাহ এসলিয়েহ যেন আরও চঞ্চল হয়ে উঠেছিল।
সালমাহের ঈদ আর আসবে না। হুর আল–সালোউতের প্রথম হাঁটা, আধো আধো বুলিতে কথা শোনার অপেক্ষা শেষ হবে না কোনো দিন। ইসরায়েলের নির্মম হামলা মা-বাবার কোল থেকে কেড়ে নিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজার এই শিশুদের। শুধু এই তিনজন নয়, ১৭ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ফিলিস্তিনের উপত্যকাটিতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৮ হাজার শিশু।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল যুদ্ধবিরতি। এরপর সেখানকার শিশুদের দুর্দশা কিছুটা কমেছিল। তবে গত মঙ্গলবার ভোররাতে (সাহ্রির আগে) গাজায় আবার নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এই হামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৫৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ২০০। যদিও বার্তা সংস্থা এএফপি প্রথম দুই দিনে ৯৭০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল।
আগে আসবেন খালেদা পরে তারেক
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী এপ্রিলে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেটা এপ্রিল মাসের যেকোনো সময় হতে পারে। জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানের বাসায় যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। লন্ডন হাসপাতালের চিকিৎসকরা ‘হোম ভিজিট’-এর মাধ্যমে প্রতিদিনই তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা যখন পরিষ্কারভাবে ছাড়পত্র দেবেন তখনই তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন লন্ডন থেকে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম দেশে ফেরার পর হয়তো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও দেশে ফিরে যাবেন।’ প্রফেসর জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শরীরের অবস্থা আল্লাহর রহমতে এখন অনেকটাই স্ট্যাবল আছে। তাঁর পুত্র তারেক রহমানের বাসায় থেকে লন্ডন হসপিটালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁরা (চিকিৎসকরা) হোম ভিজিটের মাধ্যমে এই চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দেশীয় ডাক্তাররাও তাদের সঙ্গে সব সময়ই সমন্বয় করছি। আমরা আশাবাদী যে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার ইনশা আল্লাহ আরও উন্নতি হবে এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দেশে ফেরার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারবেন। সবকিছু মিলে আশা করছি তিনি আগামী এপ্রিল মাসের যেকোনো সময়ই বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন।’
রাজনৈতিক ব্যাংক ভেঙে পড়ছে
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, তাসের ঘরের মতো একের পর এক ভেঙে পড়ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকগুলো। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ইতোমধ্যে ৯টির মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এসব ব্যাংকের কোনোটির খেলাপি ঋণ ৮৬ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ব্যাংক অনুমোদনের আগেই বিরোধিতা করেন ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সরকার তখন তা আমলে নেয়নি।
প্রসঙ্গত, নতুন ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় ৯টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয় স্বৈরাচার হিসাবে চিহ্নিত শেখ হাসিনা সরকার। ব্যাংকগুলো হলো-পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক), এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এসবিএসি ব্যাংক) ও মিডল্যান্ড ব্যাংক। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এখন এসব ব্যাংকে লুটপাটের প্রকৃত চিত্র ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরে ইফা ছিল দুর্নীতির আখড়া
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পতিত আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির ভয়াল থাবা পড়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশনে (ইফা)। মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে চরম অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ আর জালিয়াতির আখড়ায় পরিণত হয়েছিল সরকারি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি। মৌলিক কাজ বাদ দিয়ে আওয়ামী বন্দনায় ব্যয় রাখা হয়েছিল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এমনকি আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু বাস্তবায়নেও দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করা হতো ইফার কর্মীদের। গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম জালিয়াতি ও দুর্নীতি হয়েছে।
সূত্র বলছে, সাবেক ডিজি সামীম মোহাম্মদ আফজালের (মৃত) নেতৃত্বেই তার দীর্ঘ ১১ বছর মেয়াদে সবচেয়ে বেশি অপকর্ম হয়েছে। একই সঙ্গে বিগত ১৫ বছরে দায়িত্ব পাওয়া বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নররা এবং আওয়ামীপন্থি হিসেবে দাবিদার বেশ কিছু কর্মকর্তা দাপটের সঙ্গে অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে গেছেন প্রতিষ্ঠানটিতে।
এতে একদিকে যেমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যদিকে সরকারের শত শত কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে। একচেটিয়া দুর্নীতি-অনিয়ম হলেও কেউ কোনো কথা বলার সাহস পেতেন না এতদিন। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ থেকে পলায়ন ও তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলোচনায় উঠে এসেছে এসব দুর্নীতি। ইফার সর্বশেষ বোর্ড সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বনের জমি বনে ফিরছে
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বনের ৮৭৫ একর জমির বরাদ্দ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আরও ১৩ হাজার ৫৬৭ একরের বরাদ্দ শিগগির বাতিল হচ্ছে। গত তিন দশকে সারাদেশে সরকারি ৪৫টি সংস্থাকে ১ লাখ ৬১ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এসব জমির বড় অংশে এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার সরকারি-বেসরকারিভাবে বিশ্ব বন দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য- 'বন-বনানী সংরক্ষণ, খাদ্যের জন্য প্রয়োজন'।
পরিবেশবিদরা বলছেন, স্থাপনাকে উন্নয়নের 'হাতিয়ার' দেখাতে সরকারই বনভূমি দখলে মদদ দিয়েছে। এতে কমছে বনভূমি; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র। বনের জমি দখলমুক্ত করতে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ চান তারা।
৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে এনআইডি, দুদকের জালে হেলালুদ্দীন
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে ব্যাপক তৎপর ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হিসেবে। পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকা অবস্থায় ২০২২ সালে অবসরে যান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের অক্টোবরে গ্রেপ্তার হন হেলালুদ্দীন।
এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ৫৫ হাজার ৩১০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততার। অভিযোগটি অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চলতি মাসের শুরুর দিকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছে ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন। গত সপ্তাহেই অনুসন্ধানের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, হেলালুদ্দীন আহমদের অনিয়ম খুঁজতে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমকে অনুসন্ধানী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনের এই সচিবের সব দুর্নীতির প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই হিসেবে গত সপ্তাহেই হেলালুদ্দীন আহমদ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই চিঠি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছে দুদক।
এডিস মশা প্রতিরোধে কার্যকর প্রস্তুতি নেই সরকারের
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে প্রাক-বর্ষা জরিপটি বছরের এ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এবার সরকার এখনো ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রাক-বর্ষা জরিপ শুরুই করেনি। আবার ২০২৪ সালের বর্ষা-পরবর্তী জরিপের প্রতিবেদন তৈরির কাজও এখনো শেষ হয়নি।
বাংলাদেশে প্রতি বছরই বর্ষার আগে থেকে বাড়তে শুরু করে ডেঙ্গু সংক্রমণ। বৃষ্টিপাত শুরুর পাশাপাশি ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশবিস্তারের অনুকূলে হওয়ায় সাধারণত এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে হিসাবে এবারো আসন্ন এপ্রিলে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না এখনো।
গত বছরের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দেশে সাময়িক সময়ের জন্য স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম থমকে যায়। একই সঙ্গে স্থবিরতা নেমে আসে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমেও। এর মধ্যে শীত মৌসুম চলে আসায় এডিসের বিস্তার প্রতিরোধে নেয়া কার্যক্রম আরো ধীর হয়ে আসে। বর্তমানে শীত শেষে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এ অবস্থায় পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল থেকেই ডেঙ্গুর সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে।
ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগের শঙ্কা
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঈদের আনন্দ উদযাপনে রাজধানীবাসী দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে এক কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ রাজধানী ছেড়ে প্রিয়জনের কাছে যেতে পারে। তবে এবারের ঈদ যাত্রায়ও সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার একদিকে রয়েছে যানজটের ভোগান্তি, অন্যদিকে নিরাপত্তাঝুঁকি তো আছেই।
বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-সিলেটসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ১৫৯টি স্পটে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর বাইপাইল ও চন্দ্রা মোড়ে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপে রাজধানীর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে তীব্র যানজটে ঈদ যাত্রার ভোগান্তি আরো বাড়তে পারে।
তবে যানজট নিরসনে জননিরাপত্তা বিভাগ ঈদের আগে ও পরে চিহ্নিত স্পটগুলোয় বিশেষ নজরদারি রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় মহাসড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ করিডরগুলোর সড়ক ঈদের সাত দিন আগেই মেরামত কিংবা সংস্কার করতে বলা হয়েছে।
এটিআর/