Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

তিস্তায় যুক্ত হচ্ছে চীন

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১০:০১

তিস্তায় যুক্ত হচ্ছে চীন

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী বেইজিং’
১ চুক্তি ও ৮ সমঝোতা স্মারক সই।
২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ-ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি।
শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চীনের জোরালো ভূমিকা চান মুহাম্মদ ইউনূস।
তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রতিষ্ঠানকে স্বাগত।
এক চীন নীতির প্রতি ঢাকার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পাশে থাকবে চীন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনে রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে পরের ধাপে নিতে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।

গতকাল বেইজিংয়ে দুই শীর্ষ নেতার আলোচনা প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিও তাঁর এক্সে এমন মন্তব্য করেছেন। বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে দুই নেতার মধ্যে ঘণ্টাখানেক দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চীনের জোরালো ভূমিকা কামনা করেছেন। অন্যদিকে সি চিন পিং বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ এবং চীনের উৎপাদন প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরে সে দেশের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। দুই শীর্ষ নেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সহযোগিতার নানা বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পাঁচটি ঘোষণা এসেছে।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন সরকার ও সে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্প এবং প্রযুক্তি খাতে সহায়তা দেবে তারা। এ ছাড়া সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ঢাকার পাশে থাকবে বেইজিং।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নানা খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এ বৈঠক হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকে শি জিনপিং বাংলাদেশে সংস্কার কার্যক্রমে ড. ইউনূসকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। দু’দেশের সম্পর্ক আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ও চীন ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে এসব নথি সই হয়।

আজকের পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘তিস্তায় যুক্ত হচ্ছে চীন’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তিস্তা নদীসহ পানিসম্পদ খাতের সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হবে চীন। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা অভিন্ন নদী যমুনার উজানে পানিপ্রবাহের বিষয়ে তথ্য দেবে দেশটি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের শীর্ষ বৈঠকে গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া চীনের পানিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস বাংলাদেশের নদী ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য দেশটির কাছ থেকে ৫০ বছরের একটি মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন।

এশিয়ার বোয়াও ফোরামে যোগদান ও দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বুধবার চীনে যান। ফোরামে অংশ নেওয়ার পর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, উপরাষ্ট্রপতি হান ঝেং, উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শ্যুয়েশিয়াং, পানিসম্পদমন্ত্রী লি গোইয়িংয়ের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি অনুষ্ঠানে চীনের বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশে উৎপাদনমুখী শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বিনিয়োগ, টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি, সামাজিক ব্যবসা ও তরুণ উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশের উৎপাদন খাত ও বাজারজাতকরণের সুযোগের বিষয়ে আরও তিনটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ঢাকা-বেইজিং এক চুক্তি ৮ এমওইউ’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও চীন জলবিদ্যুৎ, পূর্বাভাস, বন্যা প্রতিরোধ ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন, পানিসম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, পানিসম্পদ উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে। ঢাকা-বেইজিং এক চুক্তি ৮ এমওইউ শুক্রবার উভয় পক্ষ ইয়ারলুং জাংবো-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ তথ্য বিনিময়সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষরকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চীনে সরকারি সফরে রয়েছেন।

বাংলাদেশ ও চীন অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং ক্লাসিক সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিনিময় ও সহযোগিতা, সংবাদ বিনিময়, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

বাংলাদেশ ও চীনের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনঃসংস্কার প্রকল্পে চীনা কম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং নীল অর্থনীতিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন সমুদ্রসংক্রান্ত বিষয়ে বিনিময় জোরদারে এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতাসংক্রান্ত নতুন সংলাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘আড়াই লাখ কোটি টাকা খেলাপি ১১ গ্রুপের’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে ঋণের নামে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। এই টাকার বড় অংশই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আদায় হচ্ছে না বলে এই অর্থ এখন খেলাপি ঋণে পরিণত হচ্ছে। ওই সময় সরকারের নীতিনির্ধারক ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা প্রভাব খাটিয়ে এসব অপকর্ম করেছেন। প্রকাশ্যে এসব ঘটনা ঘটলেও ‘নীরব দর্শক’র ভূমিকায় ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক।

শুধু তাই নয়, আইনকানুনের কোনো তোয়াক্কা না করেই লুটপাটকারীদের সহায়তা করে নিজেরা (কেন্দ্রীয় এবং সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা) লাভবান হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের অর্থনীতি আজ ‘খাদের কিনারায়’। ব্যাংকের তারল্য প্রায় শূন্যের কোঠায়। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই খাতে লুটপাটের ব্যাপক তদন্ত শুরু করে। যা এখনো চলমান। এ পর্যন্ত ১১টি বড় শিল্প গ্রুপের নামে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে যে লুটপাট করা হয়েছে তার মধ্যে আড়াই লাখ কোটি টাকার ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে পাচার হওয়া কিছু ঋণ আদায় অযোগ্য ঋণে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বর্তমানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা। এরমধ্যে মোট খেলাপি ঋণের ৭২ শতাংশই আটকে আছে ওই ১১ গ্রুপের কাছে। এছাড়া ফাইন্যান্স কোম্পানিতে (নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান) খেলাপি ঋণ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব গ্রুপের লুটপাট করা অর্থ আদায় হওয়ার সম্ভাবনা কম। যে কারণে এগুলো খেলাপি হচ্ছে। এতে খেলাপি ঋণ আগামীতে আরও বেড়ে যেতে পারে-এমন আশঙ্কা ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টদের। 

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘২৫ বিলিয়ন ডলার ফেরানোর মিশনে আহসান মনসুর’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের মুখে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়। নাটকীয় এই পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে  নিযুক্ত হন ড. আহসান এইচ মনসুর। হাসিনার আমলে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের বিদেশে পাচার করা বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনতে জোরালো প্রচেষ্টা শুরু করেছেন তিনি। 

২৮শে মার্চ ‘বাংলাদেশ আপ এগেইন্টস টাইম টু ফাইন্ড স্টোলেন বিলিয়নস: সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অনলাইন আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটির ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিটকে (আই-ইউনিট) দেয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

আল জাজিরা বলছে, বাংলাদেশের ১১টি প্রভাবশালী পরিবারকে টার্গেট করে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রভাবশালী এসব পরিবারের বিরুদ্ধে গত এক দশক ধরে বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে কোটি কোটি ডলার পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। যাদের সম্পদের সন্ধানে ১১টি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রশ্নবিদ্ধ এই সম্পদের পরিমাণ আঁতকে ওঠার মতো। ১১টি পরিবারের মধ্যে একটির বিরুদ্ধেই ১৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ আমানতই তুলে নিয়ে গেছে তারা। ফলত ব্যাংকটি প্রায় ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে  পৌঁছেছে। 

ডিআর/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর