Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর নীরবতা অমার্জনীয়

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪

গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর নীরবতা অমার্জনীয়

বিক্ষোভে উত্তাল সারা দেশে
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সমাবেশ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ডাকা এ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গতকাল সোমবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানের এলাকা থেকে একদল তরুণ মিছিল নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেন। ওই সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরজমিন পুলিশ সদস্যদের মিছিলের সামনে থাকতে দেখা গেছে। 

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চলমান গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক গাজা ও তার আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলা ও গণহত্যার নিন্দা জানাচ্ছে। অবিলম্বে ইসরায়েলের সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ করা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, তাদের উচিত অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যেন গাজার জনগণের জীবন রক্ষা করা যায় এবং 

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রয়াদেশ স্থগিত হচ্ছে
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঢাকার সাভারের এসেন্সর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টস নামের প্রতিষ্ঠান চলতি সপ্তাহে তিন লাখ ডলারের চামড়ার ব্যাগ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে জাহাজীকরণের (শিপমেন্ট) প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গত রোববার সকালে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পণ্য জাহাজীকরণ না করতে নির্দেশনা পায় কারখানাটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এসেন্সর ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এম মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা করবেন। তাঁরা আসলে বাড়তি শুল্কের লোকসান মেটাতে মূল্যছাড় চাইছেন।

প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ মার্কিন ডলারের চামড়াপণ্য রপ্তানি করে বলে জানান মুশফিকুর রহমান। তাঁদের মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।

আরও কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মার্কিন ক্রেতাদের কাছ থেকে চলমান ক্রয়াদেশের পণ্য সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশনা পেয়েছে। কোনো কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মূল্যছাড় চেয়েছে বলেও জানা গেছে।

তৈরি পোশাক ও চামড়া খাতের কয়েকজন রপ্তানিকারক প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয়াদেশ স্থগিত কিংবা মূল্যছাড় দাবির সংখ্যাটি এখনো তুলনামূলক কম। তবে আজ-কালের মধ্যে অনেক ক্রেতা তাদের চলমান ক্রয়াদেশ নিয়ে নির্দেশনা দিতে পারে।

ভোটের রোডম্যাপ প্রস্তুত
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে,  জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথ দৃশ্যমান করতে আসছে ছয় মাসের নির্বাচনি রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা। ইতোমধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপের খসড়া প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের এবং পরের কার্যক্রমের ধারাবাহিক বর্ণনা থাকছে এই কর্মপরিকল্পনায়। ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেই জুন-জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রেখে ৬০-৬৫ দিন হাতে রেখেই অক্টোবরে নির্বাচন তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে আগেও ডিসেম্বরে ভোট করতে নভেম্বরের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার নজির রয়েছে।

এদিকে অক্টোবরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পাশাপাশি আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ; জুনের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা; জুলাই-আগস্টের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন গেজেট প্রকাশ করার পরিকল্পনা নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের টার্গেট ধরেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ভোটের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ করে জুন-জুলাইয়ে ‘কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশনপ্ল্যান’ ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের খসড়া করা আছে। শুধু ডেট, টাইমের জন্য অপেক্ষা। 

বিক্ষোভে উত্তাল সারা দেশ
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে,  ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতার প্রতিবাদে মুখর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। সোমবার দিনভর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হয়েছে সংহতি সমাবেশ। রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। একই দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে। মার্কিন দূতাবাসের সামনে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মিরপুর, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও গাজায় ইসরাইলি হামলা, গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে।

গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর নীরবতা অমার্জনীয়
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিশ্বশক্তিগুলোর নীরবতার সুযোগে ফিলিস্তিনের ওপর নৃশংসতা গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্ব ব্যর্থ। ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্বশক্তিগুলোর বিবেককে জাগাতে হবে।

নিরপরাধ ফিলিস্তিনির মুসলমানদের ওপর আগ্রাসী ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলা ও গণহত্যার বিষয়ে গতকাল সোমবার আমার দেশকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞসহ বিশিষ্টজনেরা এসব মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মীরা মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলির নৃশংসতায় বিশ্বের সাধারণ মানুষ সোচ্চার হলেও বিশ্বশক্তিগুলো নীরব রয়েছে। পরাশক্তিগুলোর নির্লিপ্ততার সুযোগ ইসরাইল নিচ্ছে। মানবতার ফেরিওয়ালাদের নির্লিপ্ততা বিশ্বব্যাপী নতুন সমস্যার জন্ম দেবে। ফিলিস্তিনের ওপর গণহত্যার ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের ভূমিকায় নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ট্রাম্পকে ড. ইউনূসের চিঠি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় আকারে আমদানি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি

সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পণ্য রপ্তানিতে বাড়তি শুল্ক থেকে রেহাই পেতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় আকারে আমদানি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানিতে কয়েক বছর মেয়াদে চুক্তি করতে চেয়েছে। প্রধান প্রধান পণ্যে শুল্ক অর্ধেক করারও অঙ্গীকার দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক তিন মাস স্থগিতের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অন্যদিকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিকে আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি শুল্ক কমানো, অশুল্ক বাধা পুরোপুরি দূর করাসহ বিভিন্ন উপায়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের গাড়ি নির্মাণ কারখানা স্থাপনের প্রস্তাবও দিয়েছেন।  

গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন বলে তাঁর প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে। চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ট্রাম্প ঘোষিত এজেন্ডাকে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ এ বিষয়ে সব কার্যক্রম শেষ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে গত ২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেন। ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী ৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যেসব পণ্য ঢুকবে, তার ওপর বিদ্যমান শুল্কহারের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ যোগ হবে। বাংলাদেশের পণ্যের প্রায় ৯০ ভাগ তৈরি পোশাক, যেখানে আগে থেকে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। এতে করে মোট শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ শতাংশের বেশি। 

বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেক সম্মেলন থেকে ফিরে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর ট্রাম্পকে চিঠি দিলেন।

ট্রাম্পের শুল্কনীতি ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ আরো উসকে দিতে পারে
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বড় আকারের খেলাপি ঋণের চাপে নাজুক পরিস্থিতি পার করছে দেশের ব্যাংক খাত। ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ২০ শতাংশের বেশি এরই মধ্যে খেলাপির খাতায় উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত পাল্টা শুল্কনীতি দেশের ব্যাংক খাতকে আরো কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ৩০-৪০ শতাংশই বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট। এ খাতে কিছু ব্যাংকের বিনিয়োগ নিজেদের ঋণ পোর্টফোলিওর অর্ধেকেরও বেশি। ঋণের পাশাপাশি ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য তথা ঋণপত্রের (এলসি) বড় অংশ বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতকে ঘিরে আবর্তিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি কমে গেলে উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এ খাতে বিনিয়োগকারী ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশ থেকে ৪ হাজার ৪৪০ কোটি বা ৪৪ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৭ শতাংশই রফতানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার। অন্যদিকে বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাতের হাত ধরে। পণ্যটি প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর আওতায় সক্রিয় রয়েছে ২ হাজার ১০৪টি কারখানা। এ খাতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবি করে সংস্থাটি।

বিক্ষোভে উত্তাল দেশ
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল ছিল দেশ। বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে গতকাল সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মিছিল-স্লোগানে প্রতিবাদ জানান জায়নবাদী ইসরাইলের গণহত্যা ও বর্বর আগ্রাসনের। কাজ বন্ধ রেখে সড়কে নেমে প্রতিবাদী মিছিলে শামিল হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিবাদ বিক্ষোভে রাজধানী কার্যত মিছিলের নগরী হয়ে ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় ঢাকাসহ সারা দেশে। 

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম, পল্টন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, মহাখালী, মিরপুর, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বারিধারাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিক্ষোভকারীর উপস্থিতি দেখা গেছে। যেখান থেকে দাবি উঠেছে অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধের। যে দাবিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজপথে স্লোগান দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। মিছিল-সমাবেশ থেকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি ইসরাইলি পণ্য বয়কটেরও ডাক দেয়া হয়েছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়েছে- ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন। ফরম দ্য রিভার টু দ্য সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি। এদিন বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ইসরাইলি পণ্য রাখা বা দেশটিকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে ভাঙচুর করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। 

এ ছাড়াও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে পৌঁছাতে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। 

ডিসেম্বরেই ভোটে অনড় বিএনপি
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড় বিএনপি। দলটি এই দাবির পক্ষে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন পাচ্ছে। এখন ডান ও বামপন্থী আরো গুরুত্বপূর্ণ দলের সমর্থন নিয়ে বিএনপি বড় প্ল্যাটফর্ম গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে।

দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত হলে দাবি আদায় সহজ হবে।

গত ৬ এপ্রিল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। ওই বৈঠকে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের যে দাবি তুলেছে, তাতে হেফাজত একমত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনের শরিকদের বাইরে অন্য দলগুলোর আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে।

দলের নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জোরালো করছে বিএনপি এবং এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

এটিআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর