Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ভাঙচুর-লুটপাটের নেপথ্যে কারা?

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১২

ভাঙচুর-লুটপাটের নেপথ্যে কারা?

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫
বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা

বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংস্কার ও বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’।

এ সামিটের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনাগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। পরিবর্তনশীল বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত সময়ের সুযোগ এবং অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উপর আলো ফেলাই এই শ্রদেআেয়োজনের উদ্দেশ্য। এ মাধ্যমে দেশের অর্থ-শিল্প ও বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে সোমবার থেকে এ সামিট শুরু হলেও আজ বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশে বিনিয়োগ কম, বড় বাধা পাঁচটি
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগে পিছিয়ে। জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, এ দেশে ব্যবসায় পরিবেশ তথা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো পাঁচটি বড় বাধা রয়েছে। এগুলো হলো বিদ্যুতের সমস্যা, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য ও উচ্চ করহার।

বাংলাদেশের বেসরকারি খাত নিয়ে ‘কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (সিপিএসডি)’ শিরোনামের এই প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার বিনিয়োগ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত চার দিনের এ বিনিয়োগ সম্মেলনের গতকাল ছিল দ্বিতীয় দিন।

প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবে দেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এসব বাধা আগের মতোই রয়েছে, অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।

আইএফসির প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কামাল কাদীর বলেন, প্রতিবেদনে সঠিক তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই এ প্রতিবেদন দেখে থাকবেন। সুতরাং এই চ্যালেঞ্জগুলো যেন ভবিষ্যতে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

ত্রিমুখী অবস্থানে তিন দল
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবে ত্রিমুখী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছয়টি বিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে রয়েছে দ্বিমত। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সংস্কার কতটা করতে হবে এ নিয়েও দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। গত মাসের শুরুতে ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬ সুপারিশ, পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

অনেক দ্বিমত বিএনপির : ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালকে এক কাতারে আনার বিষয়ে বিএনপি ভিন্নমত পোষণ করেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবেও সায় দেয়নি দলটি। বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে প্রায় সব প্রস্তাবে বিএনপি একমত।

৩১ দফা সুপারিশের মধ্যে চার-পাঁচটি বিষয়ে মতামত দেওয়া হয়েছে। বিএনপি বলছে, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন দিয়ে নির্বাচন কমিশনের হাতে ডিলিমিটেশনের এখতিয়ার রাখা হোক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার নিয়ে ২০টি সুপারিশের ১১টিতে একমত দলটি। একটি প্রস্তাবে মন্তব্যসহ ভিন্নমত পোষণ করেছে। প্রশাসন সংস্কারে প্রায় অর্ধেক প্রস্তাবে একমত বিএনপি। ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে অর্ধেকে নিজস্ব মতামত দিয়েছে দলটি।

জুলাই বিপ্লবে বদলে যাচ্ছে দ্বীপের মানচিত্র
সাগরের বুকে নতুন সন্দ্বীপ

যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভাসানচর, শালিকচর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা, কাউয়ারচরসহ বিলীন ৪৭৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা ফের সন্দ্বীপের মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে। ১৯৫৫ সালের জরিপে সন্দ্বীপের মোট আয়তন ছিল ৬০৩ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বঙ্গোপসাগর গ্রাস করায় এর মূল ভূখণ্ডের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৮২ বর্গকিলোমিটার। নতুন করে চর জাগলেও কাগজপত্রে বিলীন হয়ে যাওয়া সন্দ্বীপের সঙ্গে তা যোগ হয়নি। পতিত হাসিনা সরকারের আমলে খোদ দ্বীপের একটি সিন্ডিকেট নতুন চরগুলোর বেশিরভাগ অংশ নোয়াখালীর সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর সন্দ্বীপ-নোয়াখালীর এই সীমানা বিরোধ ফের সামনে আসে। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে দ্রুত সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বঙ্গোপোসাগরের বুক চিরে তৈরি হচ্ছে বিশালায়তনের নতুন এক সন্দ্বীপের। নতুন সন্দ্বীপের বর্তমান মোট আয়তন ৭২১ বর্গকিলোমিটার বেশি হতে পারে। তাদের মতে, সাগরে পলিমাটি জমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দ্বীপটি। ইতোমধ্যে জাহাইজ্যারচর, ভাসানচর, উরিরচর নানাভাবে সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে গেছে। পলি জমে চরগুলোর আয়তনও বাড়ছে। তাদের মতে অদূর ভবিষ্যতে এসব চর সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে সৃষ্টি হবে বিশাল এক দ্বীপাঞ্চল। বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের (স্পারসো) এক গবেষণাতেও এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের বেপরোয়া দুর্নীতি
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দারের বেপরোয়া দুর্নীতি আদালতপাড়ায় এখন আলোচিত বিষয়। তার দলীয় আনুগত্য, ঘুস গ্রহণ ও বিভিন্ন কৌশলে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। সরকারি সম্পত্তি হাতবদল থেকে শুরু করে তার বিদেশে সম্পদ গড়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবীদের দাবি, এসব অভিযোগে দ্রুত তদন্ত করে তার বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বিচারপতি নাইমা হায়দার ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রেসিডেন্টপ্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীর মেয়ে।

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন-পরবর্তী যে কয়জন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে বিরত রাখা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম তিনি। আমার দেশ'র অনুসন্ধানে তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডগুলো উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, নাইমা হায়দার ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালের ৩০ জুন একই বিভাগের নিয়মিত বিচারক হন। 

আওয়ামী লীগের অত্যন্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন নাইমা হায়দারের বাবা বদরুল হায়দার চৌধুরী। প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসরের পর তাকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আওয়ামী কোটায় নাইমা হায়দারের বিচারপতি নিয়োগ পাওয়ার এটিই ছিল প্রধান কারণ।

স্থায়ী কমিটির বৈঠক
নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসবে বিএনপি

সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে যেসব বক্তব্য আসছে, তাতে পরিষ্কার কোনো বার্তা নেই বলে মনে করছে বিএনপি। বরং দেশে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে জনমনে। এ অবস্থায় সরকারের ভাবনা জানতে এবং নিজেদের অবস্থান জানাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সময় চাওয়া হয়েছে।

বিএনপি মনে করছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক যত সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো সরকার এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে করতে পারে। বাকি সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদে করা যাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচনী রোডম্যাপ ইস্যুতে দলের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে বিএনপি। এ ক্ষেত্রে তারা দু-একটি কর্মসূচি দেওয়ার কথাও চিন্তা করছে।

জিডিপির অতিরঞ্জিত তথ্য এখনো সংশোধন হয়নি
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। এজন্য বছরের পর বছর ধরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), মাথাপিছু আয়, রফতানির তথ্য বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।

গত আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অতিরঞ্জিত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান সংশোধন করা হবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আট মাস পেরিয়ে গেলেও সেই অতিরঞ্জিত পরিসংখ্যানের কবল থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। মূলত পরিসংখ্যান তৈরির আগের কাঠামো বহাল থাকার পাশাপাশি অতীতের সব পরিসংখ্যান সংশোধনে সার্বিক উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। এ দুটো কারণেই সরকার এখনো আগের অতিরঞ্জিত অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান থেকে বের হতে পারছে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশের পরিসংখ্যানের মান নিয়ে দাতা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছে। ‘কান্ট্রি ইকোনমিক মেমোরেন্ডাম: চেঞ্জ অব ফ্যাব্রিক’ শিরোনামে ২০২২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। এতে ১৩০টি দেশের ৩০ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ বলা হলেও এর প্রকৃত হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ সরকারি হিসাবে ১০ বছরে গড় প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে ২ দশমিক ৮ শতাংশীয় পয়েন্ট। তাছাড়া সংস্থাটির পরিসংখ্যান সক্ষমতার সূচকেও বাংলাদেশের স্কোর ছিল ক্রমেই নিম্নমুখী।

ভাঙচুর-লুটপাটের নেপথ্যে কারা?
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কারা কেন এভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্যই বা কি ছিল? সোমবার এসব ঘটনার পরপরই তৎপর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সারা দেশে ৫৬ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে- দেশে বিনিয়োগ সম্মেলন চলার সময় এভাবে বিদেশি মালিকানা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাটে কারও উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এ ছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুযোগ নেয়ার লক্ষ্যেও কোনো পক্ষ এসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সোমবারের কর্মসূচিতে কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ছিল, তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের মিছিল-সমাবেশ থেকেই হামলা-ভাঙচুরে উস্কানি দেয়া হয়। পরে লুটপাটকারীরা সুযোগ নেয়। 

সিলেটে ভাঙচুর-লুটপাটকারী কারা?
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে জানান, সিলেটে রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে; ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা সবাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। শুধু এই ১৪ জনই নয় আরও অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত। তবে ক্ষত চিহ্ন রয়ে গেছে নগরে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষ। শুধু যে কেএফসি কিংবা বাটাতে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে তা নয়। রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির দোকান, ফার্মেসিসহ নানা পণ্যের দোকানে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। নগরে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাদের বাধা কোনো কাজেই আসেনি। শেষে সেনা সদস্যরা মাঠে নামায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সিলেটে। বন্দরের বাটা জুতার দোকানে লুট করতে ভেতরে ছিল ১৫-২০ জন যুবক। এমন সময় সেনা সদস্যরা সেখানে যান। তারা যেতেই পালাচ্ছিলো লুটপাটকারীরা। সব ঘটনারই ভিডিও ছবি আছে। 

শুল্কযুদ্ধে তছনছ বিশ্ববাণিজ্য
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের আরোপিত ৩৪ শতাংশ শুল্কের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যেও একই পরিমাণ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। এর জের ধরে চীনা পণ্যের ওপর আরো ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াাইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানান, চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করা হচ্ছে।

বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে। গত সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে চীন যদি পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে তবে অতিরিক্ত আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক বাসানো হবে। বুধবার থেকেই বাড়তি এ শুল্ক কার্যকর হবে।’ এ ছাড়া চীনের অনুরোধে আলোচনায় বসার সম্ভাবনাও বাতিল করা হবে বলে জানান ট্রাম্প।

গতকাল আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘চুক্তি করতে মুখিয়ে আছে চীন। তবে তারা জানে না কিভাবে এর সূচনা করতে হবে। আমরা চীনের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার অপেক্ষায় আছি। চুক্তি হবে।’

এর আগে গত মার্চে চীনের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে সব মিলিয়ে চীনের তৈরি পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক বসতে যাচ্ছে।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর