বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য, টানাপড়েনে ক্ষতিগ্রস্ত কারা?

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২

স্বেচ্ছায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ সারেন্ডার
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আওয়ামী শাসনামলে প্রায় ৬০ হাজার জনের চাকরি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায়। চাকরিপ্রাপ্তদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরি করে চাকরি নেন তারা। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার চাপে ভুয়া সনদ অনুযায়ী জামুকার সুপারিশের পর গেজেট জারি করত তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ফলে সেই ভুয়া সনদ পরে প্রকৃত সনদ হয়ে যেত। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ৮৯ হাজার ২৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা জমা পড়েছে।
এর মধ্যে অনেকের মুক্তিযোদ্ধার সনদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশেষত, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও পুলিশ বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার সংখ্যা বেশি। নানা জাল-জালিয়াতির অভিযোগও আছে এসব চাকরিজীবীর অনেকের বিরুদ্ধে। গত ১৫ বছরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৯ হাজার ৪৮৫ জন, পুলিশে ২৩ হাজার ৬৩ জন চাকরি পেয়েছেন।
হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির চিঠি
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গত জুলাইয়ে গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরো ১১ জন সাবেক মন্ত্রী, মেয়র ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।
তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, হাছান মাহমুদ, বেনজীর আহমেদসহ বেশ কয়েকজন আছেন। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এখনো তাদের নাম দেখা যায়নি, কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনীতিসংশ্লিষ্ট হওয়ায় যাচাই-বাছাইয়ের কারণে প্রক্রিয়া দেরি হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধও করা হয়েছে। রেড নোটিশ মানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, তবে এতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় আটক হতে পারেন।
সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছে বিএনপি
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিএনপি মনে করছে, নির্বাচন নিয়ে সরকার আন্তরিক নয় এবং সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করছে। তাই সরকারকে চাপে রাখতেই বিএনপি বিভিন্ন সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই আলোচনা দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে দলটি। তারা চায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হোক। সম্প্রতি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে দলের নেতারা বলেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না, বরং সময় পিছিয়ে দেওয়ার আভাস মিলছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকেও নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি না মেলায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দলটি। বিএনপি মনে করে, নির্বাচনকে ঘিরে প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমে সরকার গতি আনছে না। তারা উদ্বিগ্ন যে, সরকার দ্রুত নির্বাচন না করলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। এজন্য বিএনপি সরকারকে চাপ দিতে ঐক্যবদ্ধ কৌশল নিচ্ছে।
বৈঠকে বিএনপি নেতারা বলেন, তারা কোনো সহিংস আন্দোলন চায় না বরং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তবে সময়মতো নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। বিএনপি মনে করছে, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই দ্রুত নির্বাচন জরুরি।
জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ বিএনপির
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জোরালো করতে জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দলটি জামায়াতে ইসলামীর মতো সমমনা দলসহ ডান-বামপন্থী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। এসব বৈঠক এক থেকে দুই সপ্তাহ চলবে।
এরপর সব দলকে নিয়ে ঢাকায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে বিএনপি দেখাতে চায়, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং তারা ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়।
সম্প্রতি গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি মনে করে, সরকার নির্বাচন নিয়ে অনীহা দেখাচ্ছে এবং সময়ক্ষেপণের পাঁয়তারা করছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায়ও বিএনপি সন্তুষ্ট নয়, কারণ তিনি কোনো নির্দিষ্ট সময় জানাননি। বরং ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলেছেন।
শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১১ শিল্প গ্রুপের অর্থ পাচার, উদ্ধারে আন্তর্জাতিক সংস্থা
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১১টি বড় শিল্প গ্রুপের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই পাচার করা অর্থ দিয়ে অনেক দেশে সম্পদ গড়ে তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক চারটি সংস্থা—বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের 'এসটিএআর', যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, আইসিএআর এবং আইএসিসিসি—এই সম্পদ উদ্ধারে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এই ১১ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শুধু সামিট গ্রুপের তদন্ত এখনও চলছে।
পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন দেশে আইনি সহায়তার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে এসব সম্পদ জব্দ এবং রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা চলছে।
এই উদ্যোগে সরকার কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে নগদ টাকা দেবে না, বরং উদ্ধার হওয়া অর্থ থেকে কমিশন দেওয়া হবে। অনেক দেশে ইতিমধ্যে পাচার করা সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে— যেমন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ আরও কয়েকটি দেশ। এছাড়া আরও অনেক ব্যক্তির টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে, যাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে।
আসছে বাজেট ২০২৫-২৬, গুরুত্ব পাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি
ইত্তেফাকের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে বাজেটের আকার কিছুটা কমিয়ে আনছে সরকার। এবারের বাজেট হতে পারে প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
রাজস্ব আয় কম এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, উচ্চ জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়। সরকারের রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি আছে। ফলে এই বাজেট উচ্চাভিলাষী হলেও তা ছোট বাজেট বলা যাবে না।
বরং ঘাটতি বাড়তে পারে। মূল্যস্ফীতি কমাতে এবার জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে। বড় প্রকল্পের পরিবর্তে সরকার এবার গ্রামীণ অবকাঠামো ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভাতা ও উপকারভোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি এবং দক্ষতা উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য, টানাপড়েনে ক্ষতিগ্রস্ত কারা?
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক টানাপোড়েনের ফলে কিছু খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্য কিছু খাত লাভবান হচ্ছে। ভারত হঠাৎ করেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে, যার ফলে বাংলাদেশ কিছু নির্দিষ্ট দেশে পণ্য পাঠানোর সুবিধা হারিয়েছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই সুবিধা বাংলাদেশ খুব বেশি ব্যবহার করত না, তাই তেমন বড় ক্ষতি হবে না। তবে রপ্তানিকারকদের কার্গো খরচ বেড়েছে। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠাতে কেজিপ্রতি দেড় থেকে দুই ডলার পর্যন্ত খরচ বাড়ছে, যা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের জন্য চাপ তৈরি করছে।
ঢাকার বিমানবন্দরের সীমিত সক্ষমতা এবং কার্গো ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে, যার ফলে দেশে মিথ্যা ঘোষণায় সুতা আনার প্রবণতা বন্ধ হবে এবং স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা পাবে।
হাওরের ৯০ ভাগ ধান এখনো পাকেনি, ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাসে চিন্তায় কৃষক
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বোরো মৌসুমে আগাম জাতের ধান কাটার কাজ শুরু হলেও সিলেট অঞ্চলের হাওরের ৯০ শতাংশ ধান এখনও কাঁচা অবস্থায় রয়েছে।
নেত্রকোনার হাওরেও একই অবস্থা, যেখানে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে ধান কাটতে আরো কিছু সময় লাগবে। ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে কৃষকরা উদ্বিগ্ন, কারণ অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে এবং হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ফসল ডুবে যেতে পারে।
হাওরাঞ্চল দেশের মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ জোগান দেয়। তবে, প্রতি বছরই পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যায় হাওরের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা খাদ্য সরবরাহে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বর্তমানে, সুনামগঞ্জের কৃষি বিভাগ কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে এবং জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটার কাজ চলছে।