আছিয়ার মৃত্যুতে জবিতে গায়েবানা জানাজা

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৯:৫৩

মাগুরায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আট বছর বয়সী মেয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জবি শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এই ধরনের ঘটনা আর দেখতে চাই না। এ ধরনের গায়েবানা জানাজা আর পড়তে চাই না। ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য শেষ করতে হবে। এ ছাড়া ধর্ষক প্রমাণিত হলে একমাত্র এবং সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।’
জবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘ইসলামের আলোকে ধর্ষণমুক্ত আদর্শবান সমাজ গড়তে ছাত্রসমাজের দায়িত্ব নিতে হবে। সচেতনতার মাধ্যমে আমরা সমাজব্যবস্থার সব ধরনের অপকর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। আমরা দোষীদের আইনানুগ শাস্তি দাবি করছি। পুনরায় যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, ‘অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।’
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান।
ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।
ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
- জেএন/এমজে