
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৩

দুর্ঘটনায় সড়কে দুর্ভোগ
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায়, গতকাল সোমবার রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাদের সহকর্মীরা। তারা সড়কের দুই পাশ বন্ধ করে দেয়, যাতে প্রায় সাত ঘণ্টা তীব্র যানজট লেগে থাকে। বনানীর অবরোধের প্রভাবে অন্য সড়কেও তীব্র যানজট, চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। আর যানজটে নাকাল হন অফিসগামীসহ বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানান হয়, সোমবার ভোর ৬টা ৪১ মিনিটে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী পোশাকশ্রমিক নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন।
এর জেরে সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী ও মহাখালী অংশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাকশ্রমিকরা। তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানীতে নামার র্যাম্পও বন্ধ করে রাখেন। ফলে বনানীগামী যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামতে পারেনি।
ট্রাফিক গুলশান বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, বনানী-কাকলী ক্রসিং এবং মহাখালীর আমতলীতে ডাইভারশন দিয়ে গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ হয়ে আমতলী দিয়ে ইনকামিং এবং ভাইস ভার্সা হয়ে আউটগোয়িংয়ে চলাচল করা যাচ্ছে।
টাকা ফেরাতে আইন আসছে
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরাতে নতুন আইন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। খুব শিগগির আইনটি করা হবে। পাশাপাশি টাকা ফেরানোর ক্ষেত্রে সহায়তা নিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম থাকা ৩০টির মতো আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করবে সরকার।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ‘বিদেশে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার: গৃহীত পদক্ষেপ, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে এ বছরের মধ্যে অন্তত কয়েক শ কোটি ডলার ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে ছয়টি দেশ ও অঞ্চলে সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। দেশ ও অঞ্চলগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ। মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকে রাশিয়ান ‘স্ল্যাশ ফান্ড’–এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। কেমব্রিজ ডিকশনারি বলছে, যে অর্থ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অসাধু কাজের জন্য রাখা হয়।
বৈঠকের পর গতকাল সোমবার বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বৈঠকে আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ২০০৯ থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার (ডলারপ্রতি ১২০ টাকা ধরে প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা) বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলার (২ লাখ কোটি টাকা) পাচার হয়েছে ব্যাংকিং–ব্যবস্থা থেকে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথম থেকে বলে আসছেন পাচার করা টাকা ফেরত আনা তাঁদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের একটি। কারণ, এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা।
সংস্কারে ঐক্যের কঠিন চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নানা পথ ও মতকে এক কাতারে নিয়ে এগোতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর সবকিছুই হবে আলোচনার টেবিলে। আর এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ আলোচনা করে ঐকমত্যে পৌঁছাতে চায় কমিশন।
পাশাপাশি স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় তারা। এ ছাড়া শিগগিরই নির্বাচন নিয়ে আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা ও গ্রহণ করার লক্ষে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফররাজ হোসেন, এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর প্রতি যত দ্রুত সম্ভব মতামত জানাতে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই। এ প্রক্রিয়ার পরের ধাপ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাই দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে। তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের বিষয়ে ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মতামত চেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ১৩ মার্চের মধ্যে দলগুলো মতামত জানাবে বলে তারা আশা করছেন। দলগুলোর মতামত পাওয়ার পর শুরু হবে আলোচনা। আলোচনার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। যখন যে দলের মতামত পাওয়া যাবে, সে সময় থেকেই আলোচনার শুরু হবে।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগই মাস্টারমাইন্ড
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ডাকাতির মতো অপরাধ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ অনেকাংশে দায়ী। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটির মাস্টারমাইন্ডরা পরিকল্পিতভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেশাদার অপরাধীদের নানা পন্থায় মাঠে নামাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাও যুক্ত হচ্ছে। এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপস গ্রুপের মাধ্যমে। গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এদিকে এ চক্রের পুরো নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করতে জড়িতদের তালিকা প্রণয়নসহ পাঁচ ধরনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মূলত পাঁচটি বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। এর মধ্যে রয়েছে-নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে হালনাগাদ খবরাখবর রাখা। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এই নির্দেশনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পূর্ণ নাম ও পরিচয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে), রাজনৈতিক পরিচয় ও সংগঠনে অবস্থান, অতীত ও বর্তমান কার্যক্রমের বিবরণ, জিডি বা মামলা থাকলে তার তথ্য জরুরি ভিত্তিতে দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে ৩৩৯৯ অবৈধ ভারতীয়র বসবাস
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাসহ অবৈধভাবে দেশে অবস্থান করছেন ৬ হাজার ৯৭ জন বিদেশি নাগরিক। তাদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচ দেশ হলো– ভারত, চীন, নেপাল, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন। এখন অবৈধভাবে বসবাসকারীর মধ্যে ভারতীয়র সংখ্যা ৩ হাজার ৩৯৯, চীনের ১ হাজার ৯৯, নেপালের ৩৭৬, পাকিস্তানের ১৪০ ও ফিলিপাইনের ১৩১ জন।
তিন মাসে আগেও দেশে অবৈধ বিদেশি নাগরিক ছিল ৪৯ হাজার ২৬৫ জন। সম্প্রতি নিয়মবহির্ভূতভাবে যেসব নাগরিক দেশে অবস্থান করছেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযানসহ নানামুখী তৎপরতা চালানো হয়। এতে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত অবৈধ বিদেশি নাগরিক কমেছে ৪৩ হাজার ১৬৮ জন। এ ছাড়া গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪০ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একটি সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বর্তমানে দেশে বৈধভাবে বিদেশি নাগরিক বসবাস করছেন ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ১৬ হাজার ৮৬৬ জন, ভারতীয় ১৪ হাজার ২৭৭, যুক্তরাজ্যের ১০ হাজার ৫৮২, চীনের ৮ হাজার ৬৪ ও কানাডার ৬ হাজার ৯৩ জন। এর বাইরে আরও অনেক দেশের নাগরিকরা বৈধভাবে দেশে বসবাস করছেন।
গত ৮ ডিসেম্বর বৈধ ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ভিসার মেয়াদ না বাড়ালে বা নবায়ন না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
সিলেটের পথে পথে টর্চার সেল
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, এতটা নির্দয় ও নিষ্ঠুর কখনো ছিল না সিলেট। আধ্যাত্মিক রাজধানী খ্যাত জালালাবাদ অঞ্চলের সামাজিক এবং রাজনৈতিক সম্প্রীতি আজ বিলুপ্তপ্রায়। পতিত আওয়ামী শাসনের শেষক’টি বছর ছিল ভয়ঙ্কর। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে সিলেটের রাজনীতি ‘বিষাক্ত’ রূপ নেয়। ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতার আসনে আমৃত্যু থাকবেন’- এমন ধারণা বদ্ধমূল হতে থাকে নেতাকর্মীদের মাঝে। সিলেটে গ্রুপিং-লবিং তথা রাজনৈতিক পোলারাইজেশন ঘটে তখনই।
রাজনৈতিক কর্মীদের বাইপাস করে নিজ নিজ বলয় শক্ত করতে ডেভিল বা খারাপ লোকদের কাছে টানতে শুরু করেন সিনিয়র গ্রুপ লিডাররা। বিষয়টি এমন ছিল- ‘যাই করো, তোমরা শেষ পর্যন্ত আমার সঙ্গে থাকো।’ ওই সময় হাইকমান্ড থেকে চাপিয়ে দেয়া অনেককে নেতা হিসেবে মানতে হয় সিলেটের স্থানীয় রাজনীতিকদের। যদিও এ নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব ছিল ৫ই আগস্ট তাদের পতনের দিন পর্যন্ত। আরোপিত এবং মাঠের নেতাদের অসুস্থ প্রতিযোগিতার সুযোগ কাজে লাগায় বিভিন্ন উপ-গ্রুপের আশ্রয়ে থাকা অপরাধী চক্র। তারা নেতাদের পেছনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঠিক রেখে শেষ পর্যন্ত নিজেদের আখের গুছিয়েছে। আধিপত্য বিস্তার, মানুষকে হয়রানি, বাড়িঘর নির্মাণে চাঁদাবাজি, চোরাকারবার, পরিবহন, ফুটপাথ থেকে চাঁদা আদায়, টেন্ডারবাজিসহ হেন কাজ নেই যা তারা করেনি। এতে কোথাও কেউ বাধ সাধলে লেগে যেত দ্বন্দ্ব। তাদের ধরে এনে টর্চার সেলে চলতো বর্বর নির্যাতন। সেই বর্বরতা থেকে নারীরাও রক্ষা পায়নি।
রিপোর্ট বলছে, প্রত্যেক গ্রুপেরই ছিল একাধিক টর্চার সেল। তারা এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, কোনো কোনো টর্চার সেল ছিল ওপেন সিক্রেট। দিনের আলোতেই ভিন্নমত এবং তাদের অপরাধের পথে প্রতিবন্ধকদের ধরে এনে নৃশংস নির্যাতন করা হতো। গ্রুপিং রাজনীতির কারণে প্রত্যেক গ্রুপ লিডার ঘটনা-দুর্ঘটনার বিষয়ে অবহিত হতেন, কখনো কখনো আটকদের উদ্ধারে হস্তক্ষেপ করতেন। কিন্তু তারা তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। ফলে পথে পথে ওপেন সিক্রেট এসব টর্চার সেলে দিনের পর দিন বহু মানুষ বর্বরতার চরম শিকার হয়েছেন।
মেজরটিলা টেক্সটাইল মিল এলাকার এক নারী প্রত্যক্ষদর্শীর (আঞ্চলিক ভাষায়) বয়ান ছিল এমন “আমি এখনো রাতে ঘুমাইতে পারি না ভাই। ঘুমের ঘোরে ওউ পুয়াটার কান্না হুনি। পুয়াটায় বারবার চিৎকার করে কইছলো আমারে গুল্লি করি মারিলা, তবুও পিঠাইছনা। আধ-মরা করে পুয়াটারে ফার্মেসির বেঞ্চে শুয়াইলো কাফিরর বাচ্ছারা। আমি বেটি মানুষ, তবুও মনে হইছে হাসপাতাল নিয়া যাই’।
বাজার অংশীজনদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করা বিএসইসির ভুল ছিল কি
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের পুঁজিবাজারে বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারসাজির ঘটনা খতিয়ে দেখতে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটির প্রধান করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের টেরা রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কনসালট্যান্ট এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদকে। একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদ কমিটির সদস্য হওয়ার আগেই পুঁজিবাজারের অন্যতম অংশীজন হিসেবে বিবেচিত। একই কথা প্রযোজ্য আরেক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সাঈদের ক্ষেত্রেও। তাকেও এ কমিটির একজন সদস্য করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের অংশীজন হিসেবে পরিচিত দুটি প্রতিষ্ঠানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে কমিটির প্রধান ও সদস্য করায় শুরুতেই স্বার্থগত দ্বন্দ্বের (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ তৈরি হয়। সম্প্রতি বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও এ তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনগুলোকে ‘বিতর্কিত’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে, যার জেরে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করা, হট্টগোল, সেনা পাহারায় সংস্থাটির শীর্ষ কর্তাদের অফিস ত্যাগ ও অফিসে প্রবেশ এবং কর্মবিরতির মতো নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অপরাধের ব্যাপকতায় আতঙ্ক
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সারাদেশে সব ধরনের অপরাধ বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পিটিয়ে হত্যা, নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে হামলা, দখল, চোরাচালান, মাদক ব্যবসার মতো অন্তত ১১ ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা বেড়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণে জোরালো পদক্ষেপ না থাকায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সমাজে অপরাধমূলক নানা ঘটনায় স্পষ্ট যে মানুষ কতটা অসহিষ্ণু এবং ভুক্তভোগীরা কত অসহায়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দায়িত্বে ঘাটতির বিষয়টিও দৃশ্যমান। দায়িত্বশীলদের সঠিক জবাবদিহির আওতায় না আনা, আইন না মেনে চলার চর্চা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকা এসব ঘটনার পেছনে অনেকাংশে দায়ী বলে তাঁরা মনে করছেন।
অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম এরই মধ্যে সারা দেশে পুলিশকে দমন তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কালের কণ্ঠকে আইজিপি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
এটিআর/