নিখোঁজের ২ দিন পর হা-মীম গ্রুপের কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০০:৪২
-67e2f90ece225.jpg)
নিহত আহসান উল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
অপহরণের প্রায় দুই দিন পর রাজধানীর উত্তরা থেকে আহসান উল্লাহ নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। পরিবারের করা নিখোঁজ ডায়েরির পর মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের একটি কাশবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আহসান উল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অপহরণের পর তার এটিএম কার্ড থেকে কয়েকবার টাকা তোলা হয়েছে। এ ঘটনায় তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক সাইফুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আহসান উল্লাহর বাড়ি তুরাগ থানার চন্ডালভোগ এলাকায়। তিনি প্রতিদিন নিজের গাড়িতে আশুলিয়ার অফিসে যাতায়াত করতেন। রোববার সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৩টায় বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন।
বিকেল ৪টায় স্ত্রী লুৎফুন নাহার তাকে ফোন করলে অপরপ্রান্ত থেকে কল কেটে দেওয়া হয়। একাধিকবার ফোন করে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি চালক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। সাইফুল জানান, তারা তখন মিরপুরে ছিলেন এবং আহসান উল্লাহ মিটিংয়ে ব্যস্ত। রাতে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও আহসান উল্লাহ আর ফেরেননি।
পরিবার যখন উদ্বেগে খোঁজ করতে থাকে, তখন সাইফুল জানান, আহসান উল্লাহ উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে কারো সঙ্গে দেখা করতে গেছেন এবং তাকে বাসায় চলে যেতে বলেছেন। রাতে সাইফুল গাড়ি বাসায় রেখে নিজে পালিয়ে যান।
নিখোঁজের পর পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চালক সাইফুল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গা ঢাকা দেন এবং তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে লুৎফুন নাহার অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের কাশবন থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, আহসান উল্লাহর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং সম্ভবত শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্টদের ধারণা, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। তার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে একাধিকবার টাকা তোলা হয়েছে, যা হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য হতে পারে। ব্যক্তিগত চালক হওয়ায় সাইফুল হয়ত গোপন পিন নম্বর জেনে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এনএমএম/এমএইচএস