বিএনপি নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮
-67f8911cdd25a.jpg)
পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিনসহ দুইজন নেতাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের মৈশাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মৈশাদি এলাকার বিএনপিকর্মী মো. মফিজ হাওলাদার (৫৫) ও ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি মো. হান্নান হাওলাদারের (৪৫) মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে বুধবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হান্নান হাওলাদারের অনুসারীরা মফিজকে মারধর করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মফিজের স্ত্রীর বড় ভাই ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল হান্নান হাওলাদারের বাড়িতে হামলা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও হান্নানের আত্মীয়-স্বজনরা বাধা দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। যা পরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন (৬০) ও তার ছেলে মো. তানভীরসহ (২৯) দুজনকে ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। এ সময় তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
খবর পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জহির উদ্দিন, তার ছেলে তানভীর ও কর্পূরকাঠী গ্রামের মো. ফকরুল ইসলামকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে কবির হোসেন নামের আরেকজনকে ভর্তি করা হয়েছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বিএনপি নেতা জহির উদ্দিনের আত্মীয় মফিজ হাওলাদার অভিযোগ করেন, হান্নান ও তার অনুসারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে মারধর করেছে। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে আমরা হান্নানের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে আহত কবির হোসেন অভিযোগ করেন, মফিজ ও তার স্বজনরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং আমাদের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে। পরে তারাই আবার পুলিশে খবর দেয়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফুল ইসলাম সাগর/এমবি